ফিকির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দ্বৈত-মূল্য নীতি কেবল ন্যায্য প্রতিযোগিতার নীতিকে লঙ্ঘন করে না, বরং প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকেও অনিশ্চিত করে তোলে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভিন্ন ভিন্ন মূল্যের এই মডেলের কারণে আলাদা আলাদা জ্বালানি খরচে একই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে উৎপাদন ব্যয়ে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। এতে বলা হয়েছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস করবে, ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে এবং ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মতো ইতিবাচক উদ্যোগ থেকে অর্জিত সাফল্য ধ্বংস করে দিতে পারে। ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য একটি স্বচ্ছ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ কাঠামো অপরিহার্য।
সংগঠনটির বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নতুন ঘোষণার আলোকে যেকোনো নতুন গ্যাস সেলস অ্যাগ্রিমেন্টকে নতুন সংযোগ হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস ব্যবহার করে আসা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও, বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষে, কর্তৃপক্ষ চাইলে অতিরিক্ত গ্যাস ট্যারিফের আওতায় ফেলতে পারবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিইআরসি আয়োজিত গ্যাস ট্যারিফ পুনঃনির্ধারণ বিষয়ক গণশুনানিতে উপস্থিত প্রায় সবাই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল—এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফিকির বিবৃতিতে বলা হয়, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সেই আলোচনা ফের শুরু করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিইআরসি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে এই মূল্যহার দ্রুত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ফিকি। সেই সঙ্গে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংগঠনটি।